আমি এইরূপ শুনিয়াছি।

১. একসময় ভগবান কুরুরাজ্যে অবস্থান করিতেছিলেন, ‘কম্মাসধম্ম’ নামক কুরুদিগের নিগমে। ভগবান ভিক্ষুদিগকে আহ্বান করিলেন, ‘হে ভিক্ষুগণ’। ‘হাঁ ভদন্ত’ বলিয়া ভিক্ষুগণ প্রত্যুত্তরে সম্মতি জানাইলেন। ভগবান কহিলেন :

২. হে ভিক্ষুগণ, জীবগণের বিশুদ্ধির পক্ষে, শোক-পরিদেবন সম্যক অতিক্রম করিবার পক্ষে, দুঃখ-দৌর্মনস্য অস্তমিত করিবার পক্ষে, ন্যায় (আর্য অষ্টাঙ্গ-মার্গ) আয়ত্ত করিবার পক্ষে, নির্বাণ সাক্ষাৎকারের পক্ষে ইহাই একায়ন মার্গ, একমাত্র উৎকৃষ্ট পথ। চারি প্রকার স্মৃতিপ্রস্থান লইয়াই একায়ন মার্গ, একমাত্র পথ। চারি প্রকার কী কী? হে ভিক্ষুগণ, জগতে অভিধ্যা-দৌর্মনস্য দমিত করিয়া ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী বীর্যবান, সম্প্রজ্ঞাত ও স্মৃতিমান হইয়া অবস্থান করেন, বেদনায় বেদনানুদর্শী বীর্যবান, সম্প্রজ্ঞাত ও স্মৃতিমান হইয়া অবস্থান করেন, চিত্তে চিত্তানুদর্শী, বীর্যবান, সম্প্রজ্ঞাত ও স্মৃতিমান হইয়া অবস্থান করেন, ধর্মে, ধর্মানুদর্শী বীর্যবান, সম্প্রজ্ঞাত ও স্মৃতিমান হইয়া অবস্থান করেন।

৩. হে ভিক্ষুগণ, কীভাবে ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন? ভিক্ষু অরণ্যগত, বৃক্ষমূলগত, অথবা শূন্যাগারগত হইয়া পর্যঙ্কবদ্ধ হইয়া (পদ্মাসন করিয়া) দেহাগ্রভাগ ঋজুভাবে রাখিয়া, পরিমুখে (লক্ষ্যাভিমুখে) স্মৃতি উপস্থাপিত করিয়া উপবেশন করেন। তিনি স্মৃতিমান হইয়াই শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করেন। দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করিলে ‘দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করিতেছি’ হ্রস্বশ্বাস গ্রহণ করিলে ‘হ্রস্বশ্বাস গ্রহণ করিতেছি’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানেন। তিনি সর্বকায়-প্রতিসংবেদী (সর্বদেহে অনুভূত) শ্বাস গ্রহণ করিতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়-প্রতিসংবেদী নিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়সংস্কার (যাবতীয় দৈহিক ক্রিয়া) উপশান্ত করিয়া শ্বাস গ্রহণ করিতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়সংস্কার উপশান্ত করিয়া নিশ্বাস ত্যাগ করিতে শিক্ষা করেন। যেমন দক্ষ কর্মকার-অন্তেবাসী ভস্ত্রায় (হাপরে) দীর্ঘকাল জোরে চাপ দিলে ‘দীর্ঘকাল জোরে চাপ দিতেছি’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানে, এবং স্বল্পকাল অল্পজোরে চাপ দিলে ‘স্বল্পকাল অল্পজোরে চাপ দিতেছি’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানে, তেমন, হে ভিক্ষুগণ, দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করিলে ‘দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করিতেছি’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানেন, হ্রস্বশ্বাস গ্রহণ করিলে ‘হ্রস্বশ্বাস গ্রহণ করিতেছি’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানেন। তিনি সর্বকায়-প্রতিসংবেদী শ্বাস প্রহণ করিতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়-প্রতিসংবেদী নিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়সংস্কার উপশান্ত করিয়া শ্বাস গ্রহণ করিতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়সংস্কার উপশান্ত করিয়া নিশ্বাস ত্যাগ করিতে শিক্ষা করেন। এইরূপে তিনি নিজ কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উৎপন্ন হয় শুধু জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতির জন্য; তিনি অনিশ্রিত, অনাসক্ত হইয়া অবস্থান করেন, তিনি জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। ভিক্ষুগণ, এইরূপে ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

৪. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু গমন করিলে ‘গমন করিতেছি’ প্রকৃষ্টরূপে জানেন, অবস্থান করিলে ‘অবস্থান করিতেছি’ প্রকৃষ্টরূপে জানেন, উপবিষ্ট থাকিলে ‘উপবিষ্ট আছি’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানেন, শায়িত থাকিলে ‘শায়িত আছি’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানেন, এইরূপে যখন যেভাবে দেহ বিন্যস্ত হয় তখন তিনি তাহা সেইভাবেই জানেন। তিনি এইরূপে নিজ কায়ে, বাহির কায়ে, অন্তর-বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্তভাবে অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। ভিক্ষুগণ, এইরূপেই ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

৫. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু অভিগমনে, প্রত্যাগমনে দেহের পুরোচালনে ও পশ্চাৎ-চালনে স্মৃতিসম্প্রজ্ঞান অনুশীলন করেন, অবলোকনে বিলোকনে, সংকোচনে প্রসারণে, সঙ্ঘাটি-পাত্রচীবর-ধারণে, ভোজনে, পানে, খাদনে, আস্বাদনে, মলমূত্রত্যাগে, গতিতে, স্থিতিতে, উপবেশনে, জাগরণে, ভাষণে, তূষ্ণীম্ভাবে, স্মৃতিসম্প্রজ্ঞান অনুশীলন করেন। তিনি এইরূপেই নিজ কায়ে, বাহির কায়ে, অন্তর-বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্তভাবে অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। ভিক্ষুগণ, এইরূপেই ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

৬. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু এই শরীরে, পদতলের ঊর্ধ্বভাগ হইতে কেশের অধোভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত ত্বকাবৃত দেহপুরে নানাপ্রকার অশুচি পর্যবেক্ষণ করেন : এই দেহে আছে কেশ, লোম, নখ, দন্ত, ত্বক, মাংস, স্নায়ু, অস্থিমজ্জা, বৃক্ক, হৃদয়, যকৃৎ, ক্লোম, প্লীহা, ফুসফুস, বৃহদান্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত্র, উদর, পুরীষ, পিত্ত, শ্লেষ্মা, পুঁজ, রক্ত, স্বেদ, মেদ, অশ্র্ব, বসা, থুথু, শিকনি, লসিকা ও মূত্র। যেমন, হে ভিক্ষুগণ, শালি, ব্রীহি, মুদ্গ, মাষ, তিল ও তণ্ডুলাদি বিবিধ শস্যপূর্ণ দ্বিমুখ ‘মুতলী’ (ভাণ্ড) অনাবৃত করিয়া চক্ষুষ্মান পুরুষ তন্মধ্যে পর্যবেক্ষণ করেন : এইগুলি শালি, এইগুলি ব্রীহি, এইগুলি মুদ্গ, এইগুলি মাষ, এইগুলি তিল, এইগুলি তণ্ডুল, তেমন এই শরীরে, পদতলের ঊর্ধ্বভাগ হইতে কেশের অধোভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত ত্বকাবৃত দেহপুরে, নানাপ্রকার অশুচি পর্যবেক্ষণ করেন : আছে এই দেহে কেশ, লোম ইত্যাদি। এইরূপে তিনি নিজ কায়ে, বাহির কায়ে, অন্তর-বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য, তিনি অনাসক্তভাবে অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। ভিক্ষুগণ, এইরূপেই ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

৭. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু এই দেহ যেভাবে অবস্থিত, যেভাবে বিন্যস্ত তাহা ধাতুর দিক হইতে পর্যবেক্ষণ করেন : আছে এই দেহে পৃথিবীধাতু (ক্ষিতি), অপধাতু, তেজোধাতু এবং বায়ুধাতু। যেমন, হে ভিক্ষুগণ, দক্ষ গোঘাতক বা গোঘাতক-অন্তেবাসী গাভি বধ করিয়া, উহার দেহ অংশাশীভাবে বিভক্ত করিয়া, তাহা বিক্রয়ার্থ চৌরাস্তায় অবস্থিত থাকে, তেমন এই দেহ যেভাবে অবস্থিত ও বিন্যস্ত, ভিক্ষু তাহা ধাতুর দিক হইতে পর্যবেক্ষণ করেন : আছে এই দেহে পৃথিবীধাতু, অপধাতু তেজোধাতু ও বায়ুধাতু। এইরূপে তিনি নিজ কায়ে, বাহির কায়ে, অন্তর-বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান বা প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্তভাবে অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। ভিক্ষুগণ, এইরূপেই ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

৮. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, যেমন কেহ ‘সীবথিকায়’ (শিবালয়ে, শ্মশানে) পরিত্যক্ত একাহমৃত, দ্ব্যহমৃত, ত্র্যহমৃত, স্ফীত বিবর্ণ পুঁজপূর্ণ দেহ দেখিতে পায়, তেমন উহার সহিত তুলনা করিয়া ভিক্ষু জ্ঞানত দেখিতে পান এই দেহ ঈদৃশ-ধর্মী, ইহাতে পরিণাম অবশ্যম্ভাবী, ইহা অনতিক্রম্য। এইরূপে তিনি নিজ কায়ে, বাহির কায়ে, অন্তর-বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্তভাবে অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। ভিক্ষুগণ, এইরূপেই ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

পুনশ্চ, যেমন কেহ ‘সীবথিকায়’ পরিত্যক্ত মৃতদেহকে কাক, কুণাল (শ্যেন), গৃধ্র, কুক্কুর, শৃগাল বা বিবিধ কৃমিকীট খাইতেছে দেখিতে পায়, তেমন উহার সহিত তুলনা করিয়া ভিক্ষু জ্ঞানত দেখিতে পান : এই দেহ ঈদৃশ-ধর্মী, ইহাতে পরিণাম অবশ্যম্ভাবী, ইহা অনতিক্রম্য। এইরূপে তিনি নিজ কায়ে, বাহির কায়ে, অন্তর-বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্তভাবে অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। ভিক্ষুগণ, এইরূপেই ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

পুনশ্চ, যেমন কেহ ‘সীবথিকায়’ পরিত্যক্ত মৃতদেহকে স্নায়ুবদ্ধ মাংসলোহিতসম্পন্ন অস্থিশৃঙ্খল (কঙ্কাল), স্নায়ুবদ্ধ নির্মাংস কিন্তু এখনো রক্তরঞ্জিত অস্থিশৃঙ্খল (কঙ্কাল), স্নায়ুবদ্ধ অস্থিশৃঙ্খল কিন্তু অপগতমাংসলোহিত, স্নায়ুসম্বন্ধহীন চতুর্দিকে বিক্ষিপ্ত অস্থিপঞ্জর, একস্থানে হাতের অস্থি, একস্থানে পায়ের অস্থি, একস্থানে জঙ্ঘার অস্থি, একস্থানে ঊরুর অস্থি, একস্থানে কটির অস্থি, একস্থানে পিঠের অস্থি, একস্থানে বুকের ও পার্শ্বের অস্থি, একস্থানে বাহুর অস্থি, একস্থানে দন্ত, একস্থানে শীর্ষকটাহ (মাথার খুলি) পড়িয়া রহিয়াছে, এই অবস্থায় দেখিতে পায়, তেমন উহার সহিত তুলনা করিয়া ভিক্ষু জ্ঞানত দেখিতে পান : এই দেহ ঈদৃশ-ধর্মী, ইহাতে পরিণাম অবশ্যম্ভাবী, ইহা অনতিক্রম্য। এইরূপে তিনি নিজ কায়ে, বাহির কায়ে, অন্তর-বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্তভাবে অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। হে ভিক্ষুগণ, এইরূপেই ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

পুনশ্চ, যেমন কেহ ‘সীবথিকায়’ পরিত্যক্ত মৃতদেহের অস্থিগুলি (পর পর) শ্বেতশঙ্খবর্ণসদৃশ, বর্ষকাল পরে পুঞ্জীকৃত, বাতাতপে গলিত ও চূর্ণীকৃত, হইয়াছে অবস্থায় দেখিতে পায়, তেমন উহার সহিত তুলনা করিয়া ভিক্ষু জ্ঞানত দেখিতে পান : এই দেহ ঈদৃশ-ধর্মী, ইহাতে পরিণাম অবশ্যম্ভাবী, ইহা অনতিক্রম্য। এইরূপে তিনি নিজ কায়ে, বাহির কায়ে, অন্তর-বাহির কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া কায়ে অবস্থান করেন, ‘কায় আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্তভাবে অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। ভিক্ষুগণ, এইরূপেই ভিক্ষু কায়ে কায়ানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

৯. হে ভিক্ষুগণ, কীভাবে ভিক্ষু বেদনাবিষয়ে বেদনানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন? ভিক্ষু সুখবেদনা বেদনকালে সুখবেদনা অনুভব করিতেছেন তাহা প্রকৃষ্টরূপে জানেন, দুঃখবেদনা বেদনকালে দুঃখবেদনা অনুভব করিতেছেন জানেন, না-দুঃখ-না-সুখবেদনা বেদনকালে না-দুঃখ-না-সুখবেদনা অনুভব করিতেছেন জানেন, সামিষ সুখবেদনা বেদনকালে সামিষ সুখবেদনা অনুভব করিতেছেন, নিরামিষ সুখবেদনা বেদনকালে নিরামিষ সুখবেদনা অনুভব করিতেছেন, সামিষ দুঃখবেদনা বেদনকালে সামিষ দুঃখবেদনা অনুভব করিতেছেন, নিরামিষ দুঃখবেদনা বেদনকালে নিরামিষ দুঃখবেদনা অনুভব করিতেছেন, সামিষ না-দুঃখ-না-সুখবেদনা বেদনকালে সামিষ না-দুঃখ-না-সুখবেদনা অনুভব করিতেছেন, নিরামিষ না-দুঃখ-না-সুখবেদনা বেদনকালে নিরামিষ না-দুঃখ-না-সুখবেদনা অনুভব করিতেছেন, তাহা প্রকৃষ্টরূপে জানেন। এইরূপে তিনি নিজ বেদনাবিষয়ে বেদনানুদর্শী হইয়া, বাহির বেদনাবিষয়ে বেদনানুদর্শী হইয়া, অন্তর-বাহির বেদনাবিষয়ে বেদনানুদর্শী হইয়া, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া বেদনাবিষয়ে অবস্থান করেন, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া বেদনাবিষয়ে অবস্থান করেন, ‘বেদনা আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্ত হইয়া অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। এইরূপেই তিনি বেদনাবিষয়ে বেদনানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

১০. হে ভিক্ষুগণ, কীভাবে ভিক্ষু চিত্তে চিত্তানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন? ভিক্ষু চিত্ত সরাগ হইলে চিত্ত সরাগ হইয়াছে তাহা প্রকৃষ্টরূপে জানেন, বীতরাগ হইলে বীতরাগ হইয়াছে, সদ্বেষ হইলে সদ্বেষ হইয়াছে, বীতদ্বেষ হইলে বীতদ্বেষ হইয়াছে, সমোহ হইলে সমোহ হইয়াছে, বীতমোহ হইলে বীতমোহ হইয়াছে, ক্ষিপ্ত হইলে ক্ষিপ্ত হইয়াছে, বিক্ষিপ্ত হইলে বিক্ষিপ্ত হইয়াছে, মহদ্গত হইলে মহদ্গত হইয়াছে, মহদ্গত না হইলে মহদ্গত হয় নাই, স-উত্তর হইলে স-উত্তর হইয়াছে, অনুত্তর হইলে অনুত্তর, সমাহিত হইলে সমাহিত, সমাহিত না হইলে সমাহিত হয় নাই, বিমুক্ত হইলে বিমুক্ত, বিমুক্ত না হইলে বিমুক্ত হয় নাই-তাহা প্রকৃষ্টরূপে জানেন। এইরূপে তিনি নিজ চিত্তে চিত্তানুদর্শী হইয়া, বহিশ্চিত্তে চিত্তানুদর্শী হইয়া অন্তর-বাহির চিত্তে চিত্তানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া চিত্তে অবস্থান করেন, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া চিত্তে অবস্থান করেন, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া চিত্তে অবস্থান করেন, ‘চিত্ত আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্ত হইয়া অবস্থান করেন, জগতে কিছুতে আসক্তি উৎপাদন করেন না। এইরূপে, ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু চিত্তে চিত্তানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

১১. হে ভিক্ষুগণ, কীভাবে ভিক্ষু ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন? ভিক্ষু পঞ্চনীবরণ সম্পর্কে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন। কিরূপে? তিনি অন্তরে কামচ্ছন্দ থাকিলে ‘আমার ভিতর কামচ্ছন্দ আছে’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানেন, না থাকিলে নাই বলিয়াই জানেন, যেভাবে অনুৎপন্ন কামচ্ছন্দ উৎপত্তি হয় তাহা প্রকৃষ্টরূপে জানেন, যেভাবে উৎপন্ন কামচ্ছন্দ প্রহীন হয়, তাহা জানেন, যেভাবে উত্তরকালে প্রহীন কামচ্ছন্দের আর উৎপত্তি হয় না তাহাও প্রকৃষ্টরূপে জানেন। ব্যাপাদ, স্ত্যানমিদ্ধ (তন্দ্রালস্য), ঔদ্ধত্য-কৌকৃত্য এবং বিচিকিৎসা সম্বন্ধেও এইরূপ। এইরূপে তিনি অভ্যন্তর ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, বাহির ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, অন্তর-বাহির ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন; ‘ধর্মসমূহ আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্ত হইয়া অবস্থান করেন, জগতে কোনো প্রকার আসক্তি উৎপাদন করেন না। হে ভিক্ষুগণ, এইরূপে তিনি পঞ্চনীবরণ ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

১২. পুনশ্চ, হে ভিক্ষগণ, ভিক্ষু পঞ্চোপাদান-স্কন্ধ বিষয়ে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন। কিরূপে? তিনি জানেন, ইহা রূপ, রূপ-সমুদয়, রূপের অস্তগমন; ইহা বেদনা, বেদনা-সমুদয়, বেদনার অস্তগমন; ইহা সংজ্ঞা, সংজ্ঞা-সমুদয়, সংজ্ঞার অস্তগমন; ইহা সংস্কার, সংস্কার-সমুদয়, সংস্কারের অস্তগমন; ইহা বিজ্ঞান, বিজ্ঞান-সমুদয়, বিজ্ঞানের অস্তগমন। এইরূপে তিনি অভ্যন্তর ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন; বহির্ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন; অন্তর-বাহির ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন; ‘ধর্মসমূহ আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্ত হইয়া অবস্থান করেন, জগতে কোনো প্রকার আসক্তি উৎপাদন করেন না। হে ভিক্ষুগণ, এইরূপে তিনি পঞ্চোপাদান-স্কন্ধ বিষয়ে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

১৩. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু ছয় অভ্যন্তর এবং ছয় বহিরায়তন বিষয়ে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন। কিরূপে? তিনি চক্ষু কী প্রকৃষ্টরূপে জানেন, রূপ কী প্রকৃষ্টরূপে জানেন, তদুভয় কারণে যে-সংযোজন উৎপন্ন হয় তাহা প্রকৃষ্টরূপে জানেন, যেভাবে অনুৎপন্ন সংযোজন উৎপন্ন হয় তাহা প্রকৃষ্টরূপে জানেন, যেভাবে উৎপন্ন সংযোজন প্রহীন হয় জানেন, যেভাবে উত্তরকালে প্রহীন সংযোজনের আর উৎপত্তি হয় না তাহাও প্রকৃষ্টরূপে জানেন। শ্রোত্র ও শব্দ, ঘ্রাণ ও গন্ধ, জিহ্বা ও রস, কায় (ত্বক) ও স্পর্শ, মন এবং ধর্ম সম্বন্ধেও এইরূপ। এইরূপে তিনি অভ্যন্তর ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, বহির্ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, অন্তর-বাহির ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন। ‘ধর্মসমূহ আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনিশ্রিত হইয়া অবস্থান করেন, জগতে কোনো প্রকার আসক্তি উৎপাদন করেন না। হে ভিক্ষুগণ, এইরূপে তিনি ছয় অভ্যন্তর এবং ছয় বহিরায়তন বিষয়ে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

১৪. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু সপ্তবোধ্যঙ্গ ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন। কিরূপে? অন্তরে স্মৃতি-সম্বোধ্যঙ্গ থাকিলে ‘আমার ভিতর স্মৃতি-সম্বোধ্যঙ্গ আছে’ বলিয়া প্রকৃষ্টরূপে জানেন, না থাকিলে নাই বলিয়াই জানেন। যেভাবে অনুৎপন্ন স্মৃতি-সম্বোধ্যঙ্গ উৎপন্ন হয় তাহা প্রকৃষ্টরূপে জানেন, এবং যেভাবে ভাবনা দ্বারা উৎপন্ন স্মৃতি-সম্বোধ্যঙ্গ পরিপূর্ণ হয় তাহাও জানেন; বীর্য-সম্বোধ্যঙ্গ, প্রীতি-সম্বোধ্যঙ্গ, প্রশ্রদ্ধি (প্রশান্তি)-সম্বোধ্যঙ্গ এবং উপেক্ষা-সম্বোধ্যঙ্গ সম্বন্ধেও এইরূপ। এইরূপে তিনি অভ্যন্তর ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, বহির্ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, অন্তর-বাহির ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন; ‘ধর্মসমূহ আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্ত হইয়া অবস্থান করেন, জগতে কোনো প্রকার আসক্তি উৎপাদন করেন না। হে ভিক্ষুগণ, এইরূপে তিনি সপ্তবোধ্যঙ্গ ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

১৫. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু চতুরার্যসত্য ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন। কিরূপে? হে ভিক্ষুগণ, তিনি ‘ইহা দুঃখ’ যথার্থভাবে, প্রকৃষ্টরূপে জানেন। ‘ইহা দুঃখসমুদয়’ যথার্থভাবে জানেন, ‘ইহা দুঃখনিরোধ’ যথার্থভাবে জানেন, ‘ইহা দুঃখনিরোধের পথ’ তাহাও যথার্থভাবে জানেন। এইরূপে তিনি অভ্যন্তর ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, বহির্ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, অন্তর-বাহির ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন, সমুদয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, উদয়-ব্যয়-ধর্মানুদর্শী হইয়া ধর্মে অবস্থান করেন, ‘ধর্মসমূহ আছে’ তাঁহার এই স্মৃতি উপস্থাপিত হয়, ‘আছে’ মাত্র এই জ্ঞান ও প্রতিস্মৃতি লাভের জন্য। তিনি অনাসক্ত হইয়া অবস্থান করেন, জগতে কোনো প্রকার আসক্তি উৎপাদন করেন না। হে ভিক্ষুগণ, এইরূপে তিনি চতুরার্যসত্য ধর্মে ধর্মানুদর্শী হইয়া অবস্থান করেন।

১৬. হে ভিক্ষুগণ, যেকোনো ভিক্ষু এই চারি স্মৃতি-উপস্থান এইরূপে সপ্তবর্ষ ভাবনা করেন, সত্যসত্যই এই দুই ফলের কোনো না কোনো একটি ফল তাঁহার লাভ হয় : (১) দৃষ্টধর্মে (প্রত্যক্ষজীবনে) আজ্ঞা (আত্মপ্রত্যয়) লাভ, বা (২) দেহাবসানে অনাগামিতা নামক অবস্থা লাভ। হে ভিক্ষুগণ, সপ্তবর্ষ রাখিয়া দাও। যদি কেহ ছয়বর্ষ, পঞ্চবর্ষ, চারিবর্ষ, ত্রিবর্ষ, দ্বিবর্ষ, একবর্ষ-একবর্ষ রাখিয়া দাও, এমনকি সাত মাস, ছয় মাস, পাঁচ মাস, চারি মাস, তিন মাস, দুই মাস, এক মাস, অর্ধমাস-অর্ধমাস রাখিয়া দাও, এমনকি একসপ্তাহকাল উক্ত চতুর্বিধ স্মৃতি-উপস্থান এইরূপে ভাবনা করেন, সত্যসত্যই এই দুই ফলের কোনো না কোনো একটি ফল তাঁহার লাভ হয় : (১) দৃষ্টধর্মে আজ্ঞা লাভ; বা (২) দেহাবসানে অনাগামী অবস্থা লাভ।

১৭. পুনশ্চ, হে ভিক্ষুগণ, জীবগণের বিশুদ্ধির পক্ষে, শোক-পরিদেবন সমতিক্রম করিবার পক্ষে, দুঃখ-দৌর্মনস্য অস্তমিত করিবার পক্ষে, ন্যায় আয়ত্ত করিবার পক্ষে, নির্বাণ সাক্ষাৎ করিবার পক্ষে, চতুর্বিধ স্মৃতি-উপস্থানই একমাত্র উৎকৃষ্ট মার্গ।

অতএব যাহা বলা হইল, সমস্ত এইজন্যই বিবৃত হইল। ভগবান ইহা বিবৃত করিলেন। ভিক্ষুগণ তাহা শ্রবণ করিয়া আনন্দ প্রকাশ করিলেন।

স্মৃতিপ্রস্থান-সূত্র সমাপ্ত।

মূলপর্যায়-বর্গ প্রথম সমাপ্ত।

The Middle Discourses

|_A. The First Fifty

|__I. The Chapter on the Root of All Things

MN10. স্মৃতিপ্রস্থান-সূত্র

Translations [38]

English

繁體字

日本語

한국어

Français

Deutsch

Italiano

Español

Català

Português

Русский

Nederlands

Norsk

Svenska

Srpski

Čeština

Polski

Slovenščina

Suomi

Lietuvių Kalba

हिंदी

ગુજરાતી

বাংলা

Việt Ngữ

Bahasa Indonesia

සිංහල

ပြန်သွားရန်

ภาษาไทย

पाळिभासा (Pāli)

Reference